মিরর এশিয়ার প্রতিবেদন নিয়ে ঢাকাস্থ যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের প্রতিক্রিয়া
বুধবার (১২ জুন) দ্য মিরর এশিয়ায় প্রকাশিত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাসের পদত্যাগ সংক্রান্ত সংবাদের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ঢাকাস্থ যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস।
দূতাবাসের পক্ষ থেকে বুধবার সন্ধ্যায় ই-মেইলে পাঠানো এক প্রতিক্রিয়ায় বলা হয়, পিটার হাস বাংলাদেশে রাষ্ট্রদূত হিসেবে এখনো বহাল রয়েছেন। বাংলাদেশে পরবর্তী রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনীত হয়েছেন ডেভিড স্লেটন মেল।
এ বিষয়ে আরো বিস্তারিত তথ্যের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের হোয়াইট হাউসের সঙ্গে যোগাযোগের পরামর্শ দেওয়া হয় ওই ই-মেইলে। এতে বলা হয়, আমরা অনুরোধ করছি হোয়াইট হাউসের সঙ্গে যোগাযোগ করতে। কারণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটের বৈদেশিক সম্পর্ক কমিটি রাষ্ট্রদূত মনোনয়ন নিশ্চিত করে।
পিটার ডি হাসকে নিয়ে প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়, বাংলাদেশের নির্বাচনের আগে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতির হঠাৎ পরিবর্তনের প্রতিবাদে স্টেট ডিপার্টমেন্টের চাকরি ছেড়ে দিচ্ছেন তিনি। কূটনৈতিক সূত্রগুলো দ্য মিরর এশিয়াকে এ তথ্য জানিয়েছে।
এতে আরো বলা হয়, পিটার হাস মূলত দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক মার্কিন সহকারি সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু’র কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদে পদত্যাগ করছেন। কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, বাংলাদেশ বিষয়ে মার্কিন পররাষ্ট্রনীতি গণতন্ত্র, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও মানবাধিকার অক্ষুণ্ন রাখার বিষয়ে আন্তরিক থাকলেও ডোনাল্ড লু এ বিষয়ে ধীরে চলো নীতি অবলম্বন করেছেন এবং সরকারকে গুছিয়ে নেয়ার সুযোগ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের বাংলাদেশ-নীতির প্রতিবাদে চাকরি ছাড়ছেন পিটার হাস!
এই ধীরে চলো নীতি ভারত ও ক্ষমতাসীন সরকারকে সুবিধা দিয়েছে। শেষ পর্যন্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ বিষয়ে ভারতের কথা মেনে নিতে বাধ্য হয়েছে। সাম্প্রতিক ঢাকা সফরের সময় একটি সাক্ষাৎকারে ডোলান্ড লু এটিকে কূটনীতিতে পারস্পারিক প্রভাব বলে আখ্যায়িত করেছেন।
প্রকাশিত সংবাদে আরো বলা হয়, পিটার হাস শুরুতে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য ব্যাপক কূটনৈতিক তৎপরতা চালালেও পরে পিছু হটতে বাধ্য হয়েছেন। এটি রাষ্ট্রদূতকে ক্ষুদ্ধ ও বিব্রত করছে। এই কারণে তিনি স্টেট ডিপার্টমেন্টের চাকরি ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে সূত্রগুলো জানায়।